হুগলী প্রেস ক্লাবের উদ‍্যোগে রক্তদান শিবির চুঁচড়ায়

13th June 2020 4:13 pm হুগলী
হুগলী প্রেস ক্লাবের উদ‍্যোগে রক্তদান শিবির চুঁচড়ায়


নিজস্ব সংবাদদাতা ( চুঁচড়া ) : রক্তদানে সামিল এবার সাংবাদিকরা । করোনা  মহামারীর শুরুর দিকে যখন চারিদিকে রক্তের আকাল চলছিলো তখনই প্রেস ক্লাব অফ হুগলীর পক্ষ থেকে রক্তদান শিবিরের উদ্যোগ নেওয়া হয়ে ছিল  । কিন্তু অনেকদূর এগিয়েও সরকারি বিধিনিষেধের থাকায় সেই উদ্যোগ স্থগিত করতে হয় । পরবর্তী কালে নিষেধাজ্ঞা শিথিল হতেই হুগলীর সাংবাদিকরা আবার সক্রিয় হয়ে ওঠেন । অবশেষে  শনিবার জেলা স্বাস্থ্য দফতরের অনুমতি মেলে । চুঁচুড়া খাদিনা মোড়ে অবস্থিত একটি লজে সামাজিক দূরত্ব মেনেই এদিন সংবাদ মাধ্যের প্রতিনিধিরা রক্তদান করেন।  মোট ৪৩ জনের রক্ত  সংগ্রহ করে চুঁচুড়া ব্লাড ব্যাঙ্ক । এই শিবিরে উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে প্রত্যেক রক্তদাতাদের হাতে গোলাপ ফুল এবং  মাস্ক তুলে দেওয়া হয় ।রক্তদাতাদের উৎসাহিত করতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং প্রশাসনের কর্তাদের দেখা যায় । এই শিবিরে বিভিন্ন সময়ে আসেন রাজ্যের কৃষি বিপণন মন্ত্রী তপন দাশগুপ্ত , স্থানীয় বিধায়ক অসিত মজুমদার , সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় , গোঘাট বিধানসভার বিধায়ক মানস মজুমদার । ছিলেন ব্যান্ডেল জি আর পি র অফিসার ইনচার্জ মহাবীর বেড়া ।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।